বলা হয়ে থাকে কমলা কমলার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এর রূপ যেমন তেমনি তার গুণও।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কমলার খোসা ও খোসায় প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। তাই নিয়মিত কমলা খেতে হবে। শীতকালে বাজারে কমলার আমদানি বেড়ে যায়। দামও নাগালের মধ্যে নেমে আসে। তাই এ সময় বেশি করে কমলা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
তারা জানান, কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ডায়েটারি ফাইবার।
তাই কমলার রস খুবই পুষ্টিকর। এটি বেশিরভাগ রোগে খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। একজন মানুষের প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদার প্রায় পুরোটাই একটি কমলালেবুতে পাওয়া যায়। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কমলালেবু খুবই উপকারী।
এছাড়া সর্দি ও কানের সমস্যা দূর করতে কমলালেবু খুবই উপকারী। কমলালেবুতে থাকে বিটা-ক্যারোটিন; যা শরীরের কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। কমলালেবুতে লিমোনয়েড নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা মুখ, ত্বক, ফুসফুস, স্তন ও পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই সহায়ক। ফলিক অ্যাসিড, মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান, এছাড়াও কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন বি৬; মানবদেহে হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজনীয়তা কী?
কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ভারসাম্য বজায় রাখতে কমলালেবু খুবই উপকারী। কমলা খেলে ক্ষুধা বাড়ে, ক্ষুধা বাড়ে। কমলালেবু শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভালো। বিভিন্ন লিভার বা হৃদরোগে কমলা খুবই উপকারী। হাইপারটেনসিভ রোগীদের জন্যও কমলালেবু খাওয়া উপকারী।
তবে শুধু কমলা ফুলই নয়; এর ছালেরও অনেক গুণ রয়েছে। যেমন কমলার খোসা প্রসাধনীতে খুবই উপকারী। পাকা কমলার খোসা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কমলার খোসা প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের হলদে ভাব দূর করে। তাই, তাজা কমলার খোসা পেঁচিয়ে টুথপেস্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সূত্র: জি নিউজ
No comments:
Post a Comment