পেঁয়াজের ভালো-মন্দের শেষ নেই। পেঁয়াজ কাটলে যতই চোখে জল আসুক না কেন, খাবারের স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজের জুড়ি নেই।
পেঁয়াজে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যাল এবং পুষ্টি উপাদান মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। প্রথমে জেনে নিন পেঁয়াজের উপকারিতার কিছু দিক
হজমশক্তি বাড়ায়
যাদের হজমের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন একটু কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। পেঁয়াজ খাবার হজম করতে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।
চুল পড়া কমায়
চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে পেঁয়াজ খুবই উপকারী। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা চুল পড়া রোধ করে। বিশেষ করে চুল ভাঙ্গা রোধ করে এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সংক্রমণ নিরাময় করে
পেঁয়াজে রয়েছে কারমিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য। তাই শরীরের কোথাও ইনফেকশন হলে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন। এটি ভাল সুবিধা নিয়ে আসবে। এছাড়াও পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা হয় না। গলা ব্যাথা, সর্দি, জ্বর, এলার্জি বা সামান্য ঠান্ডা ব্যথার জন্য দারুণ কাজ করে।
দাঁতের সংক্রমণ প্রতিরোধ
দাঁতের সংক্রমণ প্রতিরোধেও পেঁয়াজ উপকারী। পেঁয়াজ চিবানো দাঁতের মাঝে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়।
রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ
নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। ফলস্বরূপ, হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
জেনে নিন পেঁয়াজের অপকারিতা
এলার্জি
পেঁয়াজের অ্যালার্জিযুক্ত লোকদের জন্য এটি মোটেও নিরাপদ নয়। পেঁয়াজ অ্যালার্জির অন্যতম উৎস। আপনার যদি পেঁয়াজ থেকে অ্যালার্জি থাকে তবে ইয়াজ খেলে অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন ত্বক এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, শরীর পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি
চোখের সমস্যা
সালফিউরিক অ্যাসিড পেঁয়াজ কাটার সময় বাতাসে ভেসে যায় এবং আপনার চোখে জল নিয়ে আসে। সালফিউরিক এসিড চোখের সংস্পর্শে এলে চোখের পোড়া এবং অন্ধত্ব হতে পারে।
দুর্গন্ধ
অতিরিক্ত পেঁয়াজ খাওয়া মানুষের মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ হতে পারে। এই কাঁচা পেঁয়াজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আপনার মুখ এবং শ্বাসকে দীর্ঘ সময়ের জন্য দুর্গন্ধযুক্ত রাখতে পারে।
No comments:
Post a Comment